উচ্চ কোলেস্টেরল আজকাল একটি সাধারণ সমস্যা। অনেকেই বুঝতে পারেন না যে তাদের উচ্চ কোলেস্টেরল আছে কারণ এটি সাধারণত কোনও লক্ষণ প্রকাশ করে না। বেশিরভাগ সময় রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এটি ধরা পড়ে।
কোলেস্টেরল কী? এটি একটি মোমের মতো পদার্থ যা শরীরের স্বাভাবিকভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন। কিন্তু যখন "খারাপ কোলেস্টেরল" বা LDL বৃদ্ধি পায় তখন এটি ধমনীতে জমা হয় - যেমন পাইপে ময়লা জমা হয়। সময়ের সাথে সাথে এই জমা রক্তনালীগুলিকে সরু করে দেয় এবং হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। অনেকেই এই ঝুঁকি কমাতে স্ট্যাটিন নামক ওষুধ খান। এই ওষুধগুলি লিভারের একটি নির্দিষ্ট এনজাইমকে ব্লক করে (HMG-CoA reductase) যা শরীরে নতুন কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ওষুধ খেয়েও কোলেস্টেরল কমে না।
তাহলে কেন কাজ করছে না ওষুধ?
- পুষ্টিবিদ অঞ্জলি মুখার্জি তার সাম্প্রতিক ভিডিওতে দুটি বড় কারণ ব্যাখ্যা করেছেন-
- অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ: শুধু মিষ্টি বা চিনি নয়, অতিরিক্ত ভাত, রুটি বা শস্যজাতীয় খাবারও সমস্যার সৃষ্টি করে। এগুলো শরীরে ইনসুলিন বাড়ায়। ইনসুলিন পরিবর্তে এনজাইম সক্রিয় করে যা স্ট্যাটিন ব্লক করার চেষ্টা করছে। ফলে লিভার নতুন কোলেস্টেরল তৈরি করতে শুরু করে।
- দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ: দীর্ঘদিন শরীরে প্রদাহ থাকলে লিভার অতিরিক্ত কোলেস্টেরল তৈরি করে। ফলে ওষুধের কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়।
কি করতে হবে?
- শুধুমাত্র ওষুধের উপর নির্ভর না করে আপনার খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন।
- শুধু মিষ্টি নয়, অতিরিক্ত ভাত, রুটি এবং শস্যদানাও কমিয়ে দিন কার্বোহাইড্রেট।
- আপনার শরীরে প্রদাহ কমাতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান, পর্যাপ্ত ঘুমান এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ছোট ছোট জীবনধারা পরিবর্তন করুন.
উচ্চ কোলেস্টেরল মানেই শুধু ওষুধ নয়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে খাদ্যাভ্যাস, ঘুম ও শারীরিক পরিশ্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই অন্তর্নিহিত সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা জরুরী। মনে রাখবেন, সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিলে আপনার হৃদপিণ্ড অনেক বছর ধরে সুস্থ থাকতে পারে।
দাবিত্যাগ: এই বিষয়বস্তুতে দেওয়া তথ্য ও পরামর্শ কেবলমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য প্রদান করা হয়েছে। এটি কোনওভাবেই যোগ্য চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতামতের বিকল্প নয়। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সর্বদা একজন নিবন্ধিত ডাক্তার বা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। NEEDEVERY এই তথ্য ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট কোনও ঝুঁকি বা ক্ষতির দায় স্বীকার করে না।